যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে সম্ভাব্য পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে ফের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ রোববার (১৮ মে) সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, যেকোনো চুক্তির শর্ত হিসেবে ইরানকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। তাঁর এই বক্তব্যকে “অবাস্তব” ও “আলোচনার অন্তরায়” বলে আখ্যা দিয়েছে তেহরান।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি'র “দিস উইক” অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উইটকফ বলেন, “আমাদের একটি স্পষ্ট সীমারেখা রয়েছে, সেটি হলো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ। এমনকি ১ শতাংশ পরিমাণও মেনে নেওয়া হবে না।”
তিনি আরও বলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে কড়া অবস্থান নিয়েছিলেন, বর্তমান প্রশাসনও সেই নীতিতে অটল থাকবে।
এর প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেন, “এ ধরনের অবাস্তব শর্তই আলোচনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। উইটকফ বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে রয়েছেন।”
তাসনিম বার্তা সংস্থাকে দেওয়া বক্তব্যে আরাগচি আরও জানান, আলোচনা চলবে তবে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি পরবর্তী বৈঠকের তারিখ ও স্থান শিগগিরই ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে, বিশেষ দূত উইটকফ জানান, চলতি সপ্তাহেই ইউরোপে নতুন করে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র এ আলোচনা থেকে ইতিবাচক ফল আশা করছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, “ইরানের সঙ্গে একটি চুক্তির খুব কাছাকাছি চলে এসেছে ওয়াশিংটন।” তবে পরদিনই তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “চুক্তি কার্যকর করতে হলে তেহরানকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।”
প্রসঙ্গত, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ইরানের পরমাণু কর্মসূচির মূল অংশ, যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে তেহরানের টানাপোড়েন চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অবস্থান সেই উত্তেজনাকে আরও তীব্র করে তুলল বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।